দুরন্তপনায় গ্রামীণ ছোঁয়ার স্মৃতি
- আপডেট সময় : ০৪:৩০:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুলাই ২০২৩ ২১৬ বার পড়া হয়েছে
গ্রামীণ জীবনে বেড়ে উঠার মধ্যে দিয়ে হাজারো স্মৃতি ভীড় করে। গ্রাম থেকে কর্মব্যস্ততায় মানুষ অবস্থান করেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে, আবার কেউ কেউ থাকেন দেশের বাহিরে,কয়েক বছরেও যাওয়া হয়না আপন নীড়ে যেখানে কেটেছে প্রানবন্ত সময়। ছোট বেলায় একটি দুরন্তপনার নাম সাইকেল চালানো,তবে সাইকেলটি হাতে পাবার জন্য করতে হতো অপেক্ষা ও পেতে হতো বাবা মায়ের শাসন। একজন প্রাইমারি পড়ুয়া ছেলের সাইকেল চালানোর কৌশল থাকে অন্য রকম। প্রথমে থাকে প্রচুর ইচ্ছাপোষণ তারপর কারো সাইকেল নিয়ে বেশ কয়েকদিন চলে হাটাহাটি,এরপর বগলের নিচে সাইকেলের সীট রেখে পা প্রথম ফ্রেম বা রডের নিচে রেখে আরো কিছুদিন চলে অনুশীলন,যেটাকে সাইকেল চালানোর প্রথম ধাপ বলা হয়। সাইকেল চালাতে গিয়ে ঘটে আরেক বিপত্তি কারন প্রথম অবস্থায় ঘটে নানা রকম দুর্ঘটনা। কারো হাতে আবার কারো পায়ে ক্ষত হয়ে যায় এরপড়ে বাবা-মায়ের শাসনের কারনে কিছুদিন সাইকেল চালানো স্থগিত থাকলেও ক্ষত ভালো হলে আবার বহাল থাকে। এভাবে রডের নিচ থেকে চালানো শিখা শেষ হলে আগ্রহ থাকে সাইকেলের উপর রডে বসে চালানো আর এখানেই লাগে আরেক বিপত্তি কারন সাধারণত সদ্য প্রাইমারি পড়ুয়া ছেলের জন্য সাইকেলের উপর রডে বসে চালানো খুবই কষ্টদায়ক কারন সেখান থেকে মাটিতে কোনোভাবেই নাগাল পাওয়া যায়না। এভাবে অনেক প্রচেষ্টার পড়ে এক সময় সাইকেল চালানো শিখে যায় ছোট্ট ছেলেগুলো। একজন শিশুর দুরন্তপনায় সবচেয়ে বড় সহায়ক গ্রামীণ পরিবেশ কারন এখানে শহরের মত কোলাহল নেই,রাস্তাঘাট গুলো ফাঁকা থাকে ফলে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাও কম। গ্রামের ছেলে মেয়েগুলো স্কুল শেষে বাড়ি ফেরার পথে গাছের ছায়ায় বসে খানিকক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ পায়। ধীরে ধীরে শিশুটি বড় হওয়ার মধ্যে দিয়ে তার ছোটবেলার কথা স্মৃতিচারণ করে। পড়াশোনা শেষ করে একেকজন থাকে একেক স্থানে কিন্তু ছোটবেলায় কাটানো মূহুর্তে ফিরে যেতে চায় বার বার।